ব্যান্ড অফ ব্রাদার্স: ইজি কোম্পানির ইতিবৃত্ত

0

একজন সৈনিকই অন্য সবার চেয়ে শান্তি বেশি পরিমাণে কামনা করে, কারণ একজন সৈনিকই যুদ্ধের গভীরতর ক্ষত বয়ে বেড়ায়। – ডগলাস ম্যাক-অর্থার

ব্যান্ড অফ ব্রাদার্স সিরিজটি আমরা অনেকেই দেখেছি। কিন্তু আসল ইতিহাস কি আমরা জানি? আমরা কি প্রকৃত অর্থেই বুঝতে পারি একজন সৈনিকের যুদ্ধের গভীর ক্ষত? ট্রেঞ্চ এর ভিতর বসে থাকা সৈনিক এর চোখে ভেসে ওঠে মাতৃভূমির ছবি,মা-বাবা,ভাই-বোন, প্রিয়তমার ছবি। রাইফেল এর নলে বেয়নেট লাগিয়ে ,গ্রেনেড হাতে সৈনিক ফিরে যেতে চায় নিজের ছোট্ট কুটিরে।

প্রকৃত অর্থে যুদ্ধ কেউই চায় না। কিন্তু মাতৃভূমির জন্য যুদ্ধে যেতে হয় তাদেরই যারা শান্তিকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কামনা করে। সৈনিকদের কেউবা পদাতিক, কেউবা গোলন্দাজ, কেউ আবার কমান্ডো। কিন্তু যুদ্ধের প্রয়োজনে গড়ে ওঠে আরও নানা প্রকার সৈন্যদল। Paratrooper তাদেরই এক বিশেষ দল।

পূর্বকথাঃ

২য় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবার আক্রমণের পর আমেরিকা সরাসরি জড়িয়ে পরে এই মহাযুদ্ধে। আমেরিকান আর্মির 506 প্যারাসুট ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টকে কার্যকর করা হয় এই আক্রমণ এর আগেই। জর্জিয়ার ক্যাম্প টোকোয়াতে জন্ম নেয় আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম পূর্ণাঙ্গ Paratrooper সৈন্যদল। এই সৈন্যদের পরীক্ষামূলক সি-৪৭ প্লেন থেকে জার্মান অঞ্চলে অবতরণের প্রশিক্ষণ চলতে থাকে। এই রেজিমেন্টে ছিল তিনটি প্লাটুন ও একটি হেডকোয়ার্টার সেকশন।প্রতিটি প্লাটুনে ছিল তিনটি রাইফেল স্কোয়াড, একটি মর্টার স্কোয়াড এবং একটি মেশিন গান। এই রেজিমেন্ট এর অফিসারদের মধ্যে ছিলেন হারবার্ট সোবেল, লুইস নিকসন, রিচারড উইন্টারস, ক্লারেন্স হেসটার, ওয়াল্টার মুর। সৈনিকদের মধ্যে ছিলেন উইলিয়াম ইভান্স, কারউড লিপটন, টেরেন্স হ্যারিস, বিল গারনিয়ের এবং আমস টেইলর।

Captain Richard Winters, Image source: https://i.ytimg.com

কোম্পানি E 2/506 (Easy) ১ জুলাই, ১৯৪২ ক্যাম্প টোকোয়াতে জন্ম নেয় ১৩২জন সেনা সদস্য ও ৮ জন অফিসার নিয়ে। আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম ছত্রী সেনা ইউনিট হিসেবে প্রশিক্ষণ শুরু করে তারা। প্রতি প্লাটুনে ছিল তিনটি ১২ জনের রাইফেল স্কোয়াড ও একটি ৬ জনের মর্টার স্কোয়াড। এই কোম্পানির অস্ত্র ছিল মূলত ৬০ মিমি মর্টার, .৩০ ক্যালিবার মেশিন গান, এম-১ কারবাইন, গ্রেনেড, থম্পসন মেশিন গান আর কোল্ট পিস্তল।

Image source: https://www.ronaldspeirs.com

Paratrooper প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করার আগে, ইউনিটটি স্ট্যান্ডার্ড যুদ্ধের অনুশীলন করে এবং প্যারাসুটের সাথে অনুশীলন শুরু করে। এই অনুশীলনের একটা বিশেষ আয়োজন ছিল “currahae”। এর মানেই ছিল ৩ কিলোমিটার পাহাড় বেয়ে দৌড়ে ওঠা আর ৩ কিলোমিটার পাহাড় থেকে দৌড়ে নামা।

ইজি কোম্পানি তাদের জাম্প ট্রেনিং শুরু করে বেনিং ক্যাম্পে ১৯৪২ এর ডিসেম্বরে। সকল প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হবার পর তাদেরকে ১৯৪৩ এর মার্চ মাসে Easy কে ক্যাম্প ম্যাকালে স্থানান্তর করা হয়। এখানে আরও কঠোর পরিশ্রম এর সাথে চলতে থেকে অনিবার্য আগ্রাসনের প্রস্তুতি। অবশেষে ১০ জুন ১৯৪৩ ই কোম্পানি আর বাকি 506 রেজিমেন্ট 101 এয়ারবর্নের আওতাভুক্ত হয়।

Image source: http://media.moddb.com

প্যারাসুট রেজিমেন্ট বলে 506 রেজিমেন্টকে গড়ে তলার কথা ছিল একটা অভিজাত বাহিনী হিসেবে। এই সৈন্যদলের প্রশিক্ষণ ছিল এতটাই কঠোর যে এই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সাধারণ সৈন্যদের তাদের সমসাময়িক অন্যান্য সৈন্যদের সামর্থ্যের চেয়ে ছিল কয়েক গুনে বেশি। এর সাথে ছিল কঠোর প্রশিক্ষণের সময় গড়ে ওঠা ভ্রাতৃত্ব। আর সঙ্গে ছিল সহযোগী সৈন্যদের মধ্যেকার সহমর্মিতা।

আমারা কখনই জানিনা আমরা কতটুকু শক্তিশালী যতক্ষণ না আমাদের কঠিন বাস্তবতা আর কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। প্রয়োজন, যুদ্ধ আর বেদনা মানুষকে দুঃসাধ্য সাধনে সাহায্য করে। এই কারণেই মানুষের বেঁচে থাকার আর পুনর্জীবন লাভের ক্ষমতা অসাধারণ। – ইসাবেল আলেন্দে

ইংল্যান্ডে যাত্রাঃ

E কোম্পানি ইংল্যান্ডে যাত্রা শুরু করে ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৪৩ সামারিয়া নামের এক জাহাজে চড়ে। তারা ইংল্যান্ডের অ্যাডেলবোরনে ট্যাকটিকাল ট্রেনিং এবং আর কঠিন পরিশ্রম করতে থাকে। ইংল্যান্ডে থাকা অবস্থায় Easy কোম্পানি তার যুদ্ধবিদ্যা আরও শাণিয়ে নিতে থাকে । এদিকে ইউরোপ অভিযানও এগিয়ে আস্তে থাকে। ১৯৪৪ সালের মে মাসে E কোম্পানি আপারটরিতে স্থানান্তরিত হয়। এই আপারটরি ছিল একটি এয়ারফিল্ড এবং E কোম্পানির মারশালিং এরিয়া। এই জায়গাতেই জার্মান আক্রমণের চূড়ান্ত মহড়া হতে থাকে। অপারেশন ওভারলর্ডের জন্য E কোম্পানির মূল দায়িত্ব ছিল কজওয়ে-২ বা নরম্যান্ডি সৈকতের এক বিশেষ এলাকা মূল আক্রমণের জন্য শত্রু-মুক্ত করা।

৫ জুন রাত ১১টায় তাদের ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফটে চড়ে তাদের অভিযান শুরু হয় নরম্যান্ডি অভিমুখে। ইংল্যান্ডের আপারটারি এয়ারবেজ থেকে সি-47 এয়ারক্রাফটে চড়ে রওনা দেয় “ই কোম্পানি” এবং অবতরণ করে নরম্যান্ডি উপকূলের কোতেনটিন উপদ্বীপ এলাকায় ৬ জুন মুল আক্রমণ দিনের ভোর রাতে। দুর্ভাগ্যক্রমে, অভিযানের মূল পর্বে সকল পরিকল্পনা ভন্ডূল হয়ে যায়। অনেকে তাদের পূর্বনির্ধারিত ড্রপ জোনের আগেই এয়ারক্রাফট থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলোমেলো অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও তারা জার্মানদের উপর জোরাল আক্রমণ করতে সক্ষম হয়। ফলে জার্মানরা পিছিয়ে যেতে থাকে।

Image source: http://normandybattlefields.com

অবতরণের পরে একত্রিত হওয়ার পর Easy কোম্পানি জার্মানদের চারটি ভারী অস্ত্র-সমৃদ্ধ একটি ব্যাটারিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। ফ্রান্সের কারেন্তিন শহরটি কৌশলগত-ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমেরিকানদের কাছে কারণ এই শহরটি কজওয়ে-২ ও ফ্রান্সের মুল ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত ছিল। এই শহর দখল করে Easy কোম্পানি বাকি আমেরিকান বাহিনীর কাজ যেমন সহজ করে দেয় তেমনি ওই যুদ্ধাঞ্চলের প্রাণহানির চিত্রই বদলে যায়। তবে এই প্রথম যুদ্ধেই E কোম্পানি হারায় তার ৬৫জন সন্তানকে।
এর পরের দিনগুলোতে ইজি কোম্পানি কারেন্তিন শহর দখলে রাখে এবং জার্মান বাহিনীর প্রতি আক্রমণের মুখে এই কারেন্তিন শহরকে পুনর্দখল থেকে রক্ষা করে ।

যুদ্ধ ঘোষণা করে বৃদ্ধরা, কিন্তু যুদ্ধের বলি যুবক। – হারবারট হুভার

ইংল্যান্ডে ফেরতঃ

Easy কোম্পানি এরপর ইংল্যান্ডের অ্যাডেলবোরনে ফেরত যায়। এসময় নরম্যান্ডি অপারেশনের সময় মৃত্যু বরন করা খালি পদ গুলো নতুন Paratrooper দিয়ে পূর্ণ করা হয়। তাদের সকল অস্ত্র এবং সাজ-সরঞ্জাম বদলে নতুন অস্ত্র ও সরঞ্জাম দেয়া হয়। তাদের জন্য কমপক্ষে তৈরি করা ১৬টা হামলার পরিকল্পনা বাদ দিতে হয় মিত্র বাহিনীর জয়যাত্রার মুখে। শেষ পর্যন্ত আবারো মিত্র বাহিনীর পরিকল্পনা অনুযায়ী রাইন নদী থেকে বার্লিন পর্যন্ত এলাকা মুক্ত করবার অপারেশন মার্কেট-গার্ডেন এর অংশ হিসেবে তারা ইউরোপের মুল ভূখণ্ডে অবতরণ করে ১৭ সেপ্টেম্বর।

আইনডহোভেন, নেদারল্যান্ডঃ

ফিল্ড মার্শাল মন্টেগোমারির পরিকল্পনা ছিল অপারেশন মার্কেট-গার্ডেন। মার্কেট অংশ ছিল ইজি কোম্পানির জন্য বরাদ্দ আর গার্ডেন অংশ ছিল পদাতিক বাহিনীর। ১৭ সেপ্টেম্বর Easy কোম্পানি ১৫৪জন সৈন্য নিয়ে ঝাঁপ দেয় নেদারল্যান্ডের বুকে। নেদারল্যান্ডে নেমেই Easy কোম্পানির যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধ শুধু নিজের জীবন বাঁচানোর নয়, অন্য যত সৈনিক আকাশ থেকে নেদারল্যান্ডে অবতরণ করবে তাদের জীবন বাঁচানোর জন্যেও। E কোম্পানি তাদের নির্দিষ্ট ড্রপ জোনে অবতরণ করে যা ছিল সনচে বনে। এরপর তারা ব্রিটিশ 2nd ব্যাটালিয়নের সাথে মিলিত হয়ে সন শহরের দিকে যাত্রা শুরু করে। মিত্র বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জার্মানরা সন সেতু উড়িয়ে দেয়। মিত্র বাহিনীকে এরপর অস্থায়ী সেতু তৈরি করে এগিয়ে যেতে হয়।

ইজি কোম্পানি
Field marshal Montegomary, image source:www.pinterest.com

যাইহোক ইজি কোম্পানি তার কার্য সমাধা করে ১৩২ জীবন্ত প্রাণ নিয়ে। E কোম্পানিকে ব্রিটিশ সেনাদের সাহায্য করার জন্য মোতায়েন করা হয় যেন আইনডহোভেনে সকল রাস্তা-সেতু এবং অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা জাতে অটুট থাকে এবং ব্রিটিশ ট্যাঙ্ক, ভারী অস্ত্র-বাহি যানবাহন চলাচল করতে পারে আরনহেম পর্যন্ত।

আইনডহভেন থেকে বেরিয়ে এসে Easy কোম্পানি এবং বাকি 506 রেজিমেন্ট এগিয়ে যায় হেলমণ্ড শহরের দিকে ব্রিটিশ ট্যাঙ্কের 11 আরমার্ড ডিভিশনের সাথে। ১৯ সেপ্টেম্বর নুয়েনেন শহরের বাইরে জার্মান 107 পানজার ডিভিশন মিত্র বাহিনীর অগ্রযাত্রা রুখে দারায়। ইতিমধ্যে ই কোম্পানি সাফল্যের সাথে ভেঘেল ও উদেন শহর জার্মান বাহিনীর কাছ থেকে রক্ষা করে। অপারেশন মার্কেট-গার্ডেন যতই এগিয়ে যেতে থাকে 101 Airbourne এগিয়ে যেতে থাকে উত্তরের দিকে।

মার্কেট-গার্ডেন শেষ হওয়ার পর Easy কোম্পানি যেটেন শহরে ব্রিটিশ 43 পদাতিক ডিভিশনের স্থলাভিষিক্ত হয়। ১৯৪৪ এর ৫ অক্টোবর ই কোম্পানির ১ম প্লাটুন রাইনে ও ওয়াল নদীর মাঝের দ্বীপে যুদ্ধ করে এস-এস বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।
এরপরই পরিচালিত হয় অপারেশন পেগাসাস। E কোম্পানি আরনহেম শহরের বাইরে আটকা পড়ে থাকা ১০০ ব্রিটিশ সৈনিকদের উদ্ধার করে। এটি পরিচালিত হয় রাইনের দক্ষিণাংশে, রেনকুম নামক নেদারল্যান্ড এর এক গ্রামে। ২২ অক্টোবর মধ্য রাতের মধ্যেই মিত্র বাহিনী জার্মান অধিকৃত সীমার মধ্যে আটকা পড়ে থাকা বহু মানুষকে উদ্ধার করে।
ডাচ নদীর দক্ষিণ তীরে কানাডিয়ান প্রকৌশলীরা এবং E কোম্পানি আটকা পরা মানুষদের সংকেত পান। E কোম্পানি যে খানে পারাপারের ব্যবস্থা করে সেখান থেকে আটকা পরা সেনারা ৮০০ মিটার দূরে অবস্থান করছিলেন। নদীর অন্য পাশে পৌঁছে E কোম্পানির একাংশ ব্রিটিশদের উদ্ধার করতে থাকে অন্য অংশ জার্মানদের গোলাগুলিতে ব্যস্ত করে রাখে। পরবর্তী ৯০ মিনিটের মধ্যে একজন রাশিয়ান ছাড়া বাকি সবাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় E কোম্পানি। জার্মানরা আক্রমণ কোথা থেকে হচ্ছে বুঝতে না পেরে এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে। এই অভিযানে সর্বমোট ৯জন মারা যায় ও ৪০ জন আহত হয় কোম্পানিটির।

Battle of bulge, image source: www.time.com

১৯৪৪ এর ডিসেম্বর থেকে ১৯৪৫ এর জানুয়ারি পর্যন্ত E কোম্পানি এবং 101 Airbourne ডিভিশন বেলজিয়ামে ‘’বালজের যুদ্ধে’’ অবতীর্ণ হয়। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাস্তনের ক্রস্ররোডকে রক্ষা করা। কিন্তু এর মাঝেই তারা জার্মান সৈন্যদের দাঁড়া সম্পূর্ণ ভাবে পরিবৃত হয়ে পড়ে। সম্পূর্ণ যুদ্ধের মধ্যে এই প্রথমবার একজন জার্মান সেনাপতি আমেরিকান সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায়। এর প্রতিউত্তরে Easy কোম্পানি জার্মানদের এক শব্দে উত্তর পাঠায়, Nuts. E কোম্পানি বরফ পড়া ঠাণ্ডায় কোনও প্রকার শীতের কাপড়, খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ ছাড়া জার্মান গোলন্দাজ বাহিনীর হামলার মুখে টিকে থাকে। ১ থেকে ১৩ জানুয়ারির মধ্যে তারা বেলজিয়ামের ফয় এবং বিযোরি শহরের মধ্যকার বুই জ্যাক বনের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। এরপর E কোম্পানিকে ফয় শহর দখল করার দায়িত্ব দেয়া হয়।
E কোম্পানি যেভাবে জার্মান গোলন্দাজ আক্রমণের মুখে টিকে ছিল অন্য কোন সৈন্যদলের সেই সামর্থ্য ছিল না। যতক্ষণ না সাপ্লাই আসে ততদিন পর্যন্ত E কোম্পানি শত বাঁধার মুখে জার্মানদের আক্রমণ প্রতিহত করতে থাকে। আমেরিকান সংবাদপত্র Easy কোম্পানির নাম দেয়, the battered bastards of the bastion of bastone.

ফয়ের যুদ্ধঃ

ডিভিশন হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে আক্রমণ শুরু হয় সকাল ৯ টায়। লেফটেন্যান্ট নরমান ডাইক ১ম প্লাটুনের নেতৃত্ব দেন। কিন্তু আক্রমণের মাঝপথে তিনি থেমে যান ও দলের অন্যান্যদের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় ক্যাপ্টেন উইন্টারস নিজে ই কোম্পানির নেতৃত্ব দেন।

ব্যান্ড অফ ব্রাদার্স
City of foy, image source: https://i.pinimg.com

ফয়ের পতনের পর মিত্র বাহিনী বাস্তনের জার্মান লাইন ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হন। এরপরই সম্পূর্ণ রেজিমেন্টকে জার্মানির অভ্যন্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এই যুদ্ধে E কোম্পানির ১৫জন মৃত্যু বরন করেন।
১৮ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত Easy কোম্পানিকে হাগোনয় শহরে মোতায়েন করা হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি ,১৯৪৫, 506 রেজিমেন্টকে ফ্রান্সের মারমেলনে পাথিয়ে দেয়া হয়। সেখানে জেনারেল আইসেনহাওয়ার 101 airbourne ডিভিশনকে প্রেসিডেন্সিয়াল ইউনিট সাইটেসন দেন।
এপ্রিল নাগাদ Easy কোম্পানি জার্মানির ভিতরে প্রবেশ করে। ভিক্টরি-ওভার-ইউরোপ ডে পর্যন্ত তাদের জার্মানির ভিতরেই অবস্থান করতে হয়। এই সময়ের মধ্যে easy কোম্পানির সুবর্ণ সুযোগ ছিল হিটলারে Eagles Nest এ প্রবেশ করার সুযোগ।

শুধু যুদ্ধেই দশজন যোদ্ধায় একজন নায়ককে পাওয়া যায়। – এইচ এল মেঙ্কেন

শেষ কথাঃ

যখন Easy কোম্পানি ৬ জুন ১৯৪৪ এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তখন এর শুরু হয়ে ছিল ১৪০জন সৈন্য নিয়ে। সব মিলিয়ে ৪৮জন প্রাণ হারায় এই সাহসী যোদ্ধা দলের। তাদের যুদ্ধের স্লোগান ছিল,’’Currahee!” যার মানে “একা দাঁড়ানো”। কিন্তু শত্রুর অস্ত্রের সম্মুখে যখনি এই কোম্পানিকে পড়তে হয়েছে তখন কোন সৈন্যকে একা দাঁড়াতে হয়নি, বরং একাই Easy কোম্পানি রুখে দিয়েছে শত্রুর অগ্রযাত্রা।

 

তথ্যসূত্র-
1. www.wikipedia.org
2. http://www.easy506th.org
3. https://www.military-history.org/
4. https://www.landmarkscout.com/
5. www.warhistoryonline.com
6. http://wikiofbrothers.wikia.com

Leave A Reply

Your email address will not be published.

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More