রিলেশনশিপ জিনিসটা আসলে কি?

0

শাব্দিক অর্থে রিলেশনশিপ মানে হলো – দ্য ওয়ে ইন হুইচ টু ওর মোর পিপল আর কানেক্টেড অর দ্য স্টেট্ অফ বিয়িং কানেক্টেড!!

এই কানেকশন নানা ধরণের হতে পারে!! বাবা মা ভাই বোনের সাথে এক রকম, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এক রকম,বন্ধুদের সাথে অন্যরকম!! কিন্তু ঘটনা হলো আমরা যেভাবেই যার সাথে কানেক্টেড হই না কেন, সব ক্ষেত্রেই রিলেশনশিপ গোলটা থাকে বিয়িং হ্যাপি, ফিলিং সেফ এন্ড সিকিউর!!কিন্তু সবসময় এই গোল পর্যন্ত কানেকশন গড়াতে নাও পারে!! এমনকি ভালো সম্পর্ক তৈরী হবার মতো পারিবারিক,সামাজিক এবং মানসিক অবস্থা এবং প্রস্তুতি থাকার পরেও!!

বিবাহে বলেন আর বন্ধুত্বে বলেন, সমস্ত নিয়ামক ঠিক থাকার পরেও সম্পর্ক হয়না!! বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, বন্ধুত্ব ভেঙে যায়!!কিন্তু কেন?? কারন হল সবার সাথে সবার ঠিক “ক্লিক” টা হয়না!! মানে এনিওয়ান ইজ নট কম্প্যাটিবল উইথ এনিওয়ান!! প্রত্যেকেরই একজন বিশেষ মানুষের সাথে সম্পর্ক হয়!! অসংখ্য পরিচিত মানুষের মধ্যে একজনের সাথে প্রেম হয়!! স্কুল কলেজে একশজন ক্লাসমেট থাকা সত্বেও মাত্র একজন বা গুটিকয়েক “ভালো বন্ধু” হয়!!

আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আবার সেটায় ভাটা পরে। আমরা আমাদের সামাজে ভালবাসা শব্দটাকে একটা নেগেটিভ ওয়ার্ড এ নিয়ে গেছি। এখন আপনি যদি আপনার বাবা কিংবা মা কে বলেন আম্মু বা আব্বু আমি তুমাকে ভালবাসি, তাৎক্ষণিক আপনার আম্মার মাথায় আসবে, তাহলে কি আমার মেয়ে রিলেশনশিপ এ আছে..?

সমাজে রিলেশনশিপ নিয়ে অনেকের মনে অনেক ধরণের মতামত, ধ্যান ধারণা রয়েছে। অনেকের কাছে রিলেশনশিপ মানে হলো শুধু একজনের সাথে পারস্পরিক মতের আদান প্রদান। কারো কাছে হয়তোবা শুধু সময়টাকে অন্যজনের সাথে শেয়ার করা। আসলে আমাদের ব্যাক্তি ও সমাজ জীবনে রিলেশনশিপ টা ব্যাক্তি বিশেষে ভিন্ন।

একটা পরিপক্ব রিলেশন হতে যে সব বিষয় প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে:

বিশ্বাসঃ  বিশ্বাস হচ্ছে এমন একটা শব্দ যা না থাকলে রিলেশন টা একপ্রকার প্রাণহীন গাছের মতো মনে হয়। যেখানে বিশ্বাস নাই সেখানে রিলেশনশিপ থাকতে পারে না। এটা একটা রিলেশানের প্রধান এবং মুখ্য বিষয়।

সহযোগীতাঃ  সহযোগীতা যদি কোন রিলেশনশীপে না থাকে সেটা আর রিলেশান এর মাঝে থাকে না। আপনি যে কোন বিপদের সম্মুখীন হলেন, আর তাতে আপনার পার্টনার এর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সেটা রিলেশন হতে পারে না। সহযোগীতা আর সহমর্মিতা দুইটাই আপনার আর আপনার পার্টনার এর মধ্যে বিদ্যবান সম্পর্ককে আরো আরো মধুর করে তুলবে।

সম্মান রক্ষাঃ  সঙ্গী-সঙ্গীনির মধ্যে বিদ্যমান সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব তাদের। তাদের মধ্যে যদি নিজেদের সম্মান নিজেরা না রাখে তাহলে বিধ্যবান সম্পর্ক এ ফাটল ধরার সম্ভবনা থাকে।

কৌতুক, ধ্রুবক, এবং সৎ যোগাযোগঃ  কথা বলা ছাড়া, আপনার সম্পর্ক বেঁচে থাকবে না। আপনি যত বেশি যোগাযোগ করবেন, ততই আপনার কাছাকাছি হবে।

ঠিক যেমন আমরা বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস প্রয়োজন, আপনার ভালবাসার উন্নতির জন্য একটি নতুন বাতাসের শ্বাস প্রয়োজন। আপনার সম্পর্ককে ক্রমবর্ধমান করতে হলে দরকার এমন একটি প্রকৃত প্রেমময় অঙ্গভঙ্গি।

সাধারনত, কাউন্সেলিং (বিশেষ করে দম্পতিদের জন্য)। সুম্পর্কের প্রয়োজনগুলি বুঝতে চায় এমন ব্যক্তিদের জন্য খুবই সহায়ক হতে পারে, এবং তাদের জীবনযাপনের সুখী উপায় খুঁজে পেতে পারে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

No Comments
  1. […] অব সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল রিলেশনশিপে’ প্রকাশিত হয়েছে গবেষ.ণাটি। […]

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More