নিশীথ সূর্যের দেশঃ নরওয়ে

1

 

বিশ্বব্যাপী নরওয়ে দেশটির পরিচিতি মধ্যরাতের সূর্যের দেশ বা নিশীথ সূর্যের দেশ  হিসেবে।  অর্থাৎ মধ্যরাতেও এই দেশটিতে সূর্যের দেখা মেলে। শুনতে অবাক লাগছে তাইনা? সূর্য তাও আবার মধ্যরাতে! অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে যে আকাশে সূর্য রয়েছে তাহলে দিন না হয়ে রাত কেন? অথবা রাতের বেলা আকাশে সূর্যই বা দেখা যাবে কি করে? আসলে, মধ্যরাতের সূর্য হচ্ছে এমন একটা ঘটনা যখন টানা ২৪ ঘন্টাই সূর্য দিগন্ত রেখার উপরে থাকে এবং ঐ সকল অঞ্চল সমূহ ২৪ ঘন্টা ই সূর্যের আলো পেয়ে থাকে। আবার একই ভাবে সূর্য যখন দিগন্ত রেখার নিচে অবস্থান করে তখন ঐ অঞ্চল সমূহে ২৪ ঘন্টাই রাতের অন্ধকার থাকে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে-

পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত নরওয়ের প্রাকৃতিক ঘটনা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় ২৪ ঘন্টা ব্যাপী সূর্যের আলো বিদ্যমান থাকা। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে নরওয়ের কিছু অঞ্চলে ২ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত একটানা সূর্যের আলো বিদ্যমান থাকে এবং রাতের অন্ধকারের পরিবর্তে আকাশে গোধূলির আলো ফুটে থাকে। নরওয়ে ছাড়াও উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত কয়েকটি দেশ যেমনঃ সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং আইসল্যান্ডেও একই ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু নরওয়েরই বেশিরভাগ অঞ্চল উত্তর গোলার্ধের মধ্যে অবস্থিত এবং সূর্যের আলো সবচেয়ে বেশি সময় ধরে পাওয়া যায়। আর এই কারনেই নরওয়ে মধ্যরাতের সূর্যের দেশ হিসেবে পরিচিত।

২৪ ঘন্টা সূর্যের আলো থাকার কারণ হচ্ছে নরওয়ের ভৌগোলিক অবস্থান। ভৌগোলিকভাবে উত্তর গোলার্ধে যখন গ্রীষ্মকাল তখন সুমেরু বৃত্ত থেকে যত উত্তরে বা উপরের দিকে যাওয়া যায় ততই সূর্যের আলো বেশি সময় ধরে পাওয়া যায়। উত্তর গোলার্ধের সর্বোচ্চ স্থান বা সর্ব উত্তরে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ মাস সূর্য আলো দেয় এবং তার পর ৬ মাস অন্ধুকারাচ্ছন্ন থাকে। অর্থাৎ এই ৬ মাস উত্তর গোলার্ধে শীতকাল থাকে। নরওয়ের সালবার্ড (Svalbard) দ্বীপপুঞ্জ উত্তর গোলার্ধের জনসংখ্যা অধ্যুষিত সর্ব উত্তরের স্থান। এই অঞ্চলে ১৯ শে এপ্রিল থেকে ২৩ শে আগষ্ট পর্যন্ত একটানা প্রায় ৪ মাস সূর্য আলো দেয়। এছাড়াও অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন স্থানে ২-৩ মাস পর্যন্ত একই ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। তবে মধ্যরাতের সূর্য সবচেয়ে ভালো দেখা যায় ২১ জুন।

প্রাকৃতিক এই ঘটনাটিকে হোয়াইট নাইট বা শ্বেতরাত্রি বলেও উল্লেখ করা হয়। কারণ এই সময় স্বাভাবিক নিয়মে সূর্য উঠলেও তা অস্ত না গিয়ে দিগন্ত রেখার উপরে অবস্থান করে এবং রাতের বেলাও আকাশকে মৃদু আলোয় উদ্ভাসিত রাখে।

নরওয়ের নর্থক্যাপ এ মধরাতের সূর্য অবলোকন
নরওয়ের নর্থক্যাপ এ মধরাতের সূর্য অবলোকন source: eleniandchris.com

প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এই পরাবাস্তব দৃশ্য অবলোকন করতে নরওয়েতে আসে।

বিশ্বজুড়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দেশটির পরিচিতি মূলত মধ্যরাতের সূর্যের দেশ হিসেবে থাকলেও এটি ছাড়াও এই দেশটির বিশেষত্ব হিসেবে রয়েছে এর বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য যেমনঃ রুপকথার গল্পের মত সুন্দর সব সমুদ্রখাত, অরোরা বোরিয়ালিস বা উত্তরের আলো, তুষার ঢাকা বিস্তৃত মালভুমি আর অবিশ্বাস্য সুন্দর সব পর্বতমালা।

মধ্যরাতের সূর্যের মত আরও একটি মনোমুগ্ধকর ঘটনা হচ্ছে রাতের আকাশ জুড়ে বর্ণীল আলোর খেলা যা অরোরা বোরিয়ালিস বা নর্দার্ণ লাইটস নামে পরিচিত। নরওয়েতে গ্রীষ্মকালে ৬ মাস যেমন সূর্যের আলো থাকে তেমনি শীতকালে এই অঞ্চলটি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। আর এই সময়েই দেখা মেলে অরোরা বোরিয়ালিস বা সুমেরুপ্রভা। এই মহাজাগতিক আলোর খেলা সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত অন্ধকার রাত্রিতে দেখতে পাওয়া যায়। সাধারনত উচ্চ অক্ষাংশ অঞ্চল সমূহে এই ঘটনা দেখা যায় এবং নরওয়ে ছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য মেরু অঞ্চলেও অরোরা দেখতে পাওয়া যায়।

সুমেরুপ্রভা সৃষ্টি হয় বায়োমন্ডলের থার্মোস্ফিয়ারে থাকা অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন পরমাণুর সঙ্গে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার থেকে আসা চার্জিত ইলেক্ট্রন এবং প্রোটন কণার সংঘর্ষের ফলে। এই সংঘর্ষের ফলে চার্জিত কণা সমূহ থেকে পরমাণু কণাগুলো কিছু শক্তি লাভ করে এবং তা ঐসকল পরমাণু কণায় সঞ্চিত থাকে। এই অভ্যন্তরীণ সঞ্চিত শক্তি যখন আলোকশক্তি  হিসেবে বিকিরিত হয়, তখনই অরোরা দেখা যায়। নরওয়ে ছাড়াও আলাস্কা, কানাডা, সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং আইসল্যান্ডেও অরোরা দেখা যায়।

অরুরা বোরিয়ালিস বা সুমেরু
অরুরা বোরিয়ালিস বা সুমেরু প্রভা source: touropia.com

নরওয়ের অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের আরেকটি উৎস হচ্ছে এর সমুদ্রখাড়ি গুলো যা ফিয়র্ড নামে পরিচিত। বরফ যুগের শেষে এর গভীর উপত্যকা এবং সংকীর্ণ খাড়ি গুলো সমুদ্রের পানিতে ডুবে যায় এবং মনোমুগ্ধকর এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সৃষ্টি হয়। যদিও বিশ্ব জুড়ে এরকম অসংখ্য সমুদ্রখাড়ি রয়েছে, কিন্তু নরওয়ের সমুদ্রখাড়িগুলো পর্যটকদের নিকট অত্যাধিক জনপ্রিয় এগুলোর নজরকাড়া সৌন্দর্য্যের জন্য।

নরওয়েতে রয়েছে হাজার হাজার নয়নাভিরাম হ্রদ। মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি এ সকল হ্রদে পাওয়া যায় ইউরোপের সবচেয়ে সুস্বাদু স্যামন মাছ। নরওয়ে এই  সুস্বাদু স্যামন বিশ্বের প্রায় ১০০ টি দেশে রপ্তানি করে থাকে। হ্রদের কিনার ধরে রয়েছে জেলেদের সারি সারি কেবিন। এছাড়াও ইউরোপের সবচেয়ে গভীর হ্রদ Hornindalsvatnet নরওয়েতে অবস্থিত । এই হ্রদের আয়তন ৫১ বর্গ কি.মি., গভীরতা ৫১৪ মিটার (১৬৮৬ ফুট)। এর উপরিভাগ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৩মি. (১৭৪ ফুট) উচুতে এবং তলদেশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৬১ মি. (১৫১২ ফুট) গভীরে।

নরওয়েজিয়ান ফিয়র্ড
নরওয়েজিয়ান ফিয়র্ড

নরওয়ের সৌন্দর্য্যের আধার বলা হয় উত্তর নরওয়েতে অবস্থিত লোফোটেন দ্বীপপুঞ্জকে। এখানে দৃষ্টিনন্দন বেলাভূমি থেকে শুরু করে আরও রয়েছে সুউচ্চ পর্বত শ্রেণি, রহস্যময় সমুদ্র খাড়ি, ছবির মত সুন্দর জেলেদের গ্রাম আর সবুজের সমারোহ। কিছু সূত্র হতে জানা যায় যে এই দ্বীপে ১১,০০০ বছর ধরে জনবসতি রয়েছে যদিও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ শুধু ৫,০০০ বছরেরই পুরনো বসতির সন্ধান পেয়েছে। লোফোটেন, লৌহ যুগের ধ্বংসাবশেষ ছাড়াও ভাইকিং ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত। এখানে একটি ভাইকিং মিউজিয়াম রয়েছে যা ভাইকিং ইতিহাসের বিভিন্ন সাক্ষ্য বহন করে আছে।

হ্রদের তীরে জেলেদের কাঠের কেবিন
হ্রদের তীরে জেলেদের কাঠের কেবিন

নরওয়ে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য নয়, এর ইতিহাস এবং বর্ণীল সংস্কৃতির জন্যও সুপরিচিত। নরওয়ের শহর এবং নগরগুলো সার্বজনীন এবং নজর কাড়া স্ক্যান্ডিনেভিয়ান স্থাপত্যে ভরপুর।

নরওয়ের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ভাইকিং সম্প্রদায়ের নরওয়ে আক্রমণ। যারা ৮০০ থেকে ১,০৬৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই দেশে রাজত্ব করে। ঐতিহাসিকভাবে, নরওয়েতে ভাইকিং যুগের সূচনা হয় ৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে লিন্ডিস্ফার্ন মনাস্ট্রি আক্রমনের মধ্য দিয়ে আর শেষ হয় ১,০৬৬ খ্রিষ্টাব্দে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ যুদ্ধের মাধ্যমে, যেখানে রাজা হেরাল্ড এর বাহিনী ভাইকিংদের পরাজিত করে। এরপর ভাইকিংরা স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, গ্রীনল্যান্ড এবং নরওয়ের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস শুরু করে। নরওয়ের ভাইকিংরাই কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের বহু আগেই ফিনল্যান্ড এবং বর্তমান আমেরিকা আবিষ্কার করে। জাহাজ চালনায় দক্ষতা এবং অস্ত্র তৈরিতে তাদের নৈপুন্যের জন্য ভাইকিংরা পুরো ইউরোপ জুড়ে ত্রাসের সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। যদিও ইতিহাসে ভাইকিংরা রক্ত পিপাসু, বর্বর, লুটেরা হিসেবে পরিচিত, কিন্তু তাদের সমৃদ্ধির ইতিহাসও রয়েছে। ভাইকিংরা বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যে জড়িত ছিলো এবং তাদের এই ব্যবসা ইউরোপ ছাড়িয়ে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য এবং বাগদাদ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো।

নরওয়ের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে ফ্রেডরিকস্ট্যাড দূর্গ, স্ট্যাইভ চার্চ, নিডারোস ক্যাথেড্রাল, জার্মান স্থাপনার আদলে তৈরি বাণিজ্যিক ভবন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

নয়নাভিরাম লোফোটেন দ্বীপপুঞ্জ
নয়নাভিরাম লোফোটেন দ্বীপপুঞ্জ source: touropia.com

ফ্রেডরিকস্ট্যাড দূর্গ নরওয়ের প্রাচীন স্থাপনা গুলোর মধ্যে একটি এবং বলা হয়ে থাকে যে এই দুর্গটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ার সবচেয়ে ভালোভাবে সংরক্ষিত প্রাচীন শহর। এই দুর্গটি ১৬৬৩ থেকে ১৬৬৬ সালের মধ্যে স্থাপন করা হয়।

মধ্যযুগে ১২ থেকে ১৩ শতকের মাঝে, নরওয়েতে প্রায় ১০০০ স্ট্যাইভ চার্চ নির্মাণ করা হয় এবং ১৯ শতকের শুরু অবধি প্রায় ১৫০ টি স্ট্যাইভ চার্চ টিকে ছিলো। এদের মধ্যে অনেকগুলো একটি ধর্মীয় আন্দোলনের অংশ হিসেবে ধ্বংস করে দেয়া হয় যার মধ্যে মাত্র ২৮ টি এখনও টিকে আছে। নরওয়ের লাস্টার এ অবস্থিত আর্ন্স স্ট্যাইভ চার্চটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত আর্ন্স স্ট্যাইভ চার্চ
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত আর্ন্স স্ট্যাইভ চার্চ

এছাড়াও নরওয়েতে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ পথ যা ২৪.৫ কি.মি. দীর্ঘ। এই সম্পূর্ণ পথটি চারটি ভাগে বিভক্ত যা তিনটি রঙ্গিন আলোময় সুড়ঙ্গ দ্বারা পৃথক করা রয়েছে যাতে করে এই টানেলটি পার হওয়া চালকদের জন্য কম অস্বস্তিকর হয়।

নরওয়ের প্রাণী বৈচিত্র্য অসাধারন এবং অবিশ্বাস্য। এখানে রয়েছে তুষার শুভ্র সুমেরু শিয়াল থেকে শুরু করে বল্গা হরিণ, তিমি, সাদা লেজ যুক্ত ঈগল, মেরু ভালুক, সিন্ধু ঘোটক এবং আরও অনেক ধরনের প্রাণী। আর্কটিক ল্যান্ডস্কেপ, উত্তরে বনাঞ্চল আর জটিল উপকূল ভূমির কারণে উত্তর নরওয়েতে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। নরওয়ের সর্ব উত্তরে সুমেরু বৃত্তের নিকট অবস্থিত সালবার্ড দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৩০০০ শ্বেত ভালুক রয়েছে। এছাড়াও সালবার্ড এ সিন্ধু ঘোটক দেখতে পাওয়া যায় যা ইউরোপের অন্য কোনো স্থানে দেখতে পাওয়া দুষ্কর। এগুলোকে প্রায়ই ফিয়র্ড এর তীরে দেখতে পাওয়া যায়, যা দর্শনার্থীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ পথ
বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ পথ

সর্বশেষ বিষয় হচ্ছে, বর্তমান বিশ্বে নরওয়ের পরিচয় শান্তির দেশ হিসেবে। নরওয়ে অনেকবার বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ছিলো। নরওয়ের জনগন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী জনপদ এবং এর পেছনে কারণ হছে তাদের দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং সামাজিক সহায়তা। এছাড়াও নরওয়ের অপরাধ প্রবণতা একেবারে কম এবং এই দেশটি জীবন ধারনের জন্য নিরাপদ।

 

তুষার শুভ্র সুমেরু শিয়াল
তুষার শুভ্র সুমেরু শিয়াল source: telegraph.co.uk

তাই কেউ যদি মধ্যরাতের সূর্যের স্বাক্ষী হতে চান বা উপভোগ করতে চান মেরুপ্রভার বর্ণীল আলোর খেলা, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন অনন্য সুন্দর নরওয়ে থেকে। যদিও পর্যটকদের জন্য নরওয়ে একটু ব্যয়বহুল, তবে এর নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যে তাদের পয়সা উসূল হয়েই যাবে।

তথ্য সুত্রঃ

১. http://www.telegraph.co.uk/travel/destinations/europe/norway/extraordinary-sights/wildlife-watching/

২. http://www.touropia.com/lofoten-islands-in-norway/

৩. https://theculturetrip.com/europe/norway/articles/top-10-norwegian-architects-you-should-know/

৪. https://en.m.wikipedia.org/wiki/Norway

Leave A Reply

Your email address will not be published.

1 Comment
sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More